সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ প্র্রতিপালন না করার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের সহকারী ভূমি কমিশনার এবং সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নামে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা। পরে প্রতিবেদনটি যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন।
ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেয় হাইকোর্ট। আদেশে বংশী নদীর দূষণ বন্ধ এবং ৩০ দিনের মধ্যে দূষণ ও দখলদারদের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু দুই বছরেও প্রতিবেদনটি না দেয়ার বিষয়টি রোববার আদালতের নজরে আনেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী বাকির হোসেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রোববার আদালত অবমাননার রুল জারি করেন।
সানবিডি/এনজে