মহামারির পর ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক শ্রমবাজার

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-১১-২২ ২০:০৯:০৩


মহামারি করোনার সংকটের কাটিয়ে প্রায় দেড় বছর পর জনশক্তি রফতানি বাড়তে শুরু করেছে। আগের বছরে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন কর্মী পাঠাতে পারলেও চলতি বছরের দশ মাসেই এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩২ জনে। জনশক্তি রফতানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন করে শুরু হতে যাওয়া শ্রমবাজারে কোথাও কোথাও কাজের ধরনও পাল্টে গেছে। তাই এই বাজার ধরে রাখতে বেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিকল্প নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শ্রমবাজার ধরে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সরকারের তরফ থেকে।

জনশক্তি রফতানির গত ৫ বছরের তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সালে ১০ লাখ ৮ হাজার ৫২৫ জন, ২০১৮ সালে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন, ২০১৯ সালে মাত্র ৭০ হাজার ১৫৯ জন, ২০২০ সালে গেছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৬৯ জন, আর চলতি বছরের দশ মাসে গেল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩২ জন কর্মী বিদেশে গেছে।

তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে মহামারি করোনার কারণে ২০১৯ ও ২০২০ সালে সবচেয়ে কম কর্মী পাঠানো গেছে।

বেসরকারি জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন শুরু হলো তখন বেশ কিছু দেশ শ্রমজীবী নিয়োগে তাদের পলিসিতেই পরিবর্তন এনেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘করোনা মহামারি কাটিয়ে বর্তমানে বিদেশে কর্মী গমনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট দেড় লাখের বেশি কর্মী কর্মসংস্থানের উদ্দেশে বিদেশে গেছেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র আসছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের হার কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে এসেছে। এই প্রবাহ চলমান থাকলে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।’

সানবিডি/এনজে