বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভূতপূর্ব আধুনিকায়নের মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন হচ্ছে।
পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এখন বিশ্বের এক নম্বর শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্বন্দ্ব নিরসন করে শান্তি স্থাপনে কাজ করছে এবং সবার কাছে প্রশংসিত হচ্ছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে নাটোরের কাদিরাবাদ সেনানিবাসে ইঞ্জিনিয়ার সেন্টার অ্যান্ড স্কুল অব মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শহীদ শামসুল হুদা প্যারেড গ্রাউন্ডে এক অভিষেক ও বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের অষ্টম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন।
সামরিক রীতি ও ঐতিহ্য মেনে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। অভিষেক অনুষ্ঠানে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের জ্যেষ্ঠতম অধিনায়ক এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার সেনাবাহিনী প্রধানকে ‘কর্নেল র্যাংক ব্যাজ’ পরিয়ে দেন।
প্যারেড স্কয়ারে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধানকে আনুষ্ঠানিক অভিবাদন জানানো হয় এবং কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান আরো বলেন, দেশ ও জাতি গঠনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিশেষ করে কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের উন্নয়ন কাজে নিরলসভাবে অংশগ্রহণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছে সেনাবাহিনী। সন্ত্রাস দমনসহ কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ, ঢাকার হাতিরঝিল রাস্তা নির্মাণ ও বৌদ্ধবিহার স্থাপনের মত উন্নয়নমূলক কাজ করছে সেনাবাহিনী।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের বীর শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে তিনি কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের বাৎসরিক সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে উপস্থিত সব ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্যে সেনাবাহিনীর প্রধান কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় এ কোরের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বগুড়া এরিয়ার বিভিন্ন পদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএ