তৈরি পোশাকশিল্প শুধুমাত্র বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে না, দেশের জন্যও গৌরব এনে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, পোশাকশিল্প বিশ্বব্যাপী ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্রেডমার্ক বহন করছে এবং আমরা সবাই এতে গর্বিত।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে ‘সাসটেইনিবিলিটি অব দ্য অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ: পলিসিস, স্কোপস অ্যান্ড কনস্ট্রেইন্টস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও এসটেক্স ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের টেকসই অর্জনে পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোতে নীতি সহায়তার ঘাটতি, প্রয়োজনীয়তা ও প্রতিবন্ধকতার ওপর আলোকপাত করা। এছাড়া নতুন সুযোগ খুঁজে বের করার জন্য নীতিনির্ধারক এবং খাতসংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য একটি প্লাটফর্ম তৈরি করা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি বলেন, পোশাকশিল্প আপনার আমার সবার, এদেশের সব মানুষের। তাই এ শিল্পের উন্নয়ন মানেই বাংলাদেশের এবং এ দেশের জনগণের উন্নয়ন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরবর্তী ধাপ ব্যাপকভাবে নির্ভর করবে শিল্পখাতের ওপর। যেখানে পোশাকশিল্প মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ শিল্পটি রক্ষা করা এদেশের সব মানুষের দায়িত্ব।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, সাপ্লাই চেইনকে টেকসই করার জন্য মূল্যের ক্ষেত্রে আরও যৌক্তিক হতে ব্র্যান্ড ও রিটেইলারদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন এবং মূল্যের মেকানিজমের মধ্যে তেমন সংযোগ নেই। আমাদের কারখানাগুলো শিল্পকে নিরাপদ ও টেকসই করতে ক্রমবর্ধমানভাবে বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ইয়ার্ন, কেমিক্যালস ও অন্যান্য কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পোশাক উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে। অথচ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। উৎপাদন ব্যয় ও মূল্যের মধ্যকার এ ঘাটতি দূর করা প্রয়োজন।
এএ