চট্টগ্রাম টেস্টে দারুণ প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ১৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটির পরেও প্রথম ইনিংসে দলটি অলআউট হয়েছে ২৮৬ রানে। বাবর আজমদের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন ৭ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং বাঁহাতি স্পিনারের।
লিটন কুমার দাস-মুশফিকুর রহিমের দুইশর বেশি রানের জুটির পরেও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেমেছিল মাত্র ৩৩০-এ। এরপর পাকিস্তানের উড়ন্ত সূচণায় ধারণা করা হয়েছিল, বিশাল রানের লিড নিতে যাচ্ছে ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে প্রথম ইনিংস শেষে ৪৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে পাকিস্তান।
এমন প্রত্যাবর্তনের গল্পটা শুরু হয় তৃতীয় দিনের শুরুতে। নিজের প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে ফেরান অর্ধশতক করা আবদুল্লাহ শফিক এবং আজহার আলীকে। পাক ব্যাটিং ধ্বস সেখানেই শুরু। এরপর একে একে ফিরেছেন বাবর আজম, ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা।
যদিও স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন ওপেনার আবিদ আলী। শতক পূর্ণ করে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত দেড়শর কাছাকাছি। সেক্ষেত্রে অবশ্য বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিংয়ের। তবে চিন্তার কারণ হয়ে ওঠা এই ব্যাটারকে ১৩৩-এ থামান এদিনের নায়ক তাইজুল।
আবিদ ফেরেন দলীয় ২১৭ রানে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। ফাহিম আশরাফের ৮০ বলে ৩৮ রানের ইনিংস বাদ দিলে নেই কোন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিগত ইনিংস। তবে শেষ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ান ফাহিম-আফ্রিদি জুটি।
১১ নম্বরে ব্যাট করতে নামা শাহিন আফ্রিদিকে নিয়ে ২৯ রানের জুটি গড়েন ফাহিম আশরাফ। আফ্রিদি অপরাজিত ছিলেন ৩২ বলে ১৩ রানে। এই জুটিতে ভর করে ২৫৭ তে ৯ উইকেট হারানো পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস থামে ২৮৬ রানে গিয়ে। তাইজুলের ৭ উইকেটের দিন দুটি উইকেট পেয়েছেন পেসার এবাদত হোসেন। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
স্কোরবোর্ড
প্রথম ইনিংস
বাংলাদেশ ৩৩০/১০ (১১৪.৪ ওভার) (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১; হাসান আলী ৫/৫১)
পাকিস্তান ২৮৬/১০ ( ওভার) (আবিদ ১৩৩; তাজুল ৭/১১৬ )
বাংলাদেশ ৪৪ রানে এগিয়ে
এএ