বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশের এক হাজার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ১০টি পৌরসভায়ও ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভোট বর্জনের পর এখন চলছে গণনা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার ৩৩ ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণের শুরুতে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে ভোটারের লাইন।
সারাদেশে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) ১০০ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। এ ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মোট ৫৬৯ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৩৩৭ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১৩২ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
ফলে আগের দুই ধাপসহ মোট ২৫৩ জন চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। প্রথম ধাপে ৭২ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৮১ জন একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় ধাপের নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পেতে যাচ্ছে ১০০ ইউপি।
এবারের ইউপি নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। অন্যদিকে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও মাঠে তেমন সক্রিয় নয়। তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা করছেন বলে অনেকের অভিমত। ফলে এ নির্বাচনে বৃহৎ দল হিসেবে একমাত্র আওয়ামী লীগই অংশ নিয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউপিতে ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। এসব ইউনিয়নে ২৫ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর। আপিল ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ৩ থেকে ৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৬ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ৭ ডিসেম্বর।
এছাড়া পঞ্চম ধাপের নির্বাচন ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৭ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৯ ডিসেম্বর। আপিল ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর, নিষ্পত্তি ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১৫ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর।
সানবিডি/ এন/ আই