সিরিয়ার আলেপ্পো ছেড়ে পালাচ্ছে হাজার হাজার নাগরিক। গত সপ্তাহে জেনেভায় সরকারের সঙ্গে বিরোধীদের শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় আতঙ্কিত আলেপ্পোর বাসিন্দারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী তুরস্ক সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে। তবে শরণার্থীদের চাপ সামাল দিতে না পেরে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার হিউম্যানিটারিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন (আইএইচএইচ) নামে একটি তুর্কি দাতব্য প্রতিষ্ঠান এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রায় চার বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘ সিরিয়ার সরকারি ও বিরোধীদের সঙ্গে জেনেভায় শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেয়। তবে উভয় পক্ষের মতদ্বৈথতার কারণে আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এর পরই বিরোধীদের ওপর হামলা জোরদার করে সরকারি বাহিনী।
আইএইচএইচ জানিয়েছে, গত তিন দিনে আজাজ এলাকা থেকে কমপক্ষে ৫০ হাজার লোক তুর্কি সীমান্তে এসে পৌঁছেছে। জীবন বাঁচাতে যেসব লোক নিজের শহর ছেড়ে সীমান্তে পালিয়ে এসেছে, তারা খোলা আকাশে গাছের নিচে শুয়ে রাত পার করছে।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতগলু বৃহস্পতিবার লন্ডনে সিরিয়ার দাতাদের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার সিরীয় আলেপ্পোর ভয়াবহ সহিংসতা থেকে বাঁচতে তুরস্কের সীমান্ত এলাকায় পালিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, বাশার বাহিনী আলেপ্পোয় হামলা চালিয়েছে এবং তুরস্ক থেকে আলেপ্পো ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার যে মানবিক করিডরটি ছিল, সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আলেপ্পোর ৩ লাখ বাসিন্দার জন্য খাদ্যসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তুরস্ক থেকেই সরবরাহ করা হতো।
এদিকে, শরণার্থীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে সীমান্ত আপাতত বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। সীমান্ত এলাকায় অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের খাবার-দাবার তুরস্কই সরবরাহ করছে। তবে এসব শরণার্থীকে কবে ও কখন সীমান্তের ভেতের আশ্রয় দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।