টানা দরপতরের পর একদিনেই আন্তর্জাতিক বাজারে ৪ শতাংশ দাম বাড়ল পণ্যটির।মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আবির্ভাবের কারণে জ্বালানি বাজারে চাহিদা কতটা হুমকির মুখে পড়তে পারে তা নিয়ে আলোচনা বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তেল উত্তোলনকারী প্রধান দেশগুলোর মাঝে। খবর রয়টার্স।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জ্বালানি তেলের দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৫৬ ডলার বাড়ার ভবিষ্যদ্বাণী করেছে ব্রেন্ট ক্রুড। সে হিসাবে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম হবে ৭২ দশমিক ৭৯ ডলার। এদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের তথ্যানুযায়ী, জ্বালানি তেলের দাম ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বা ৩ দশমিক ২৫ ডলার বাড়তে পারে। সে হিসাবে প্রতি ব্যারেলের দাম হবে ৬৯ দশমিক ৪৩ ডলার।
এ বিষয়ে জ্বালানি তেল উত্তোলনকারী সংস্থা ও এর সহযোগী জোট ওপেক প্লাসের বৈঠক আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তারের কারণে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশে। বাজারে চাহিদাও বাড়ছে জ্বালানি তেলের। এ পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারিতে দৈনিক চার লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল বাজারে সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিতে পারে ওপেক প্লাস। এদিকে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারিতে তেলের সরবরাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা কুলিয়ে উঠতে পারবে না উৎপাদকরা।
রয়টার্সের জরিপের দেয়া তথ্যানুযায়ী, নভেম্বরে ২ কোটি ৭৭ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল সরবরাহ করেছে ওপেক প্লাস, যা আগের মাসের তুলনায় ২ লাখ ২০ হাজার বেশি ছিল।
সানবিডি/এনজে