ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের অফিশিয়াল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাত ৩টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের ভেরিফাইড পেজে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
পোস্টে বলা হয়, ‘অনাকাঙ্খিত ও নিরাপত্তাজনিত কারণবশত আলেশা মার্ট-এর সমস্ত অফিসিয়াল কার্যক্রম আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। গতকাল আমাদের অফিসে কতিপয় লোক দ্বারা অফিস কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তোলা এবং বল প্রয়োগের চেষ্টার কারণে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি।
‘উল্লেখ্য যে, বলপ্রয়োগকারীরা আমাদের কাস্টমার নয়, তাদের পেমেন্ট শিডিউল ছিল না, এমনকি এসএমএস পায়নি। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পাওয়ার পরই পুনরায় আমাদের কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ পরিস্থিতির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আলেশা মার্ট-এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
বনানীতে একটি করপোরেট এবং একটি রেজিস্ট্রার্ড অফিস রয়েছে আলেশা মার্টের। এছাড়াও তেজগাঁওয়ের নাসরিন টাওয়ারে তাদের আরেকটি অফিস রয়েছে। সেখান থেকেই গ্রাহকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টে বিশেষ মূল্যছাড়ে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রির ৫ দফা ক্যাম্পেইন চালানো হয়। এসব ক্যাম্পেইনে পণ্যের অর্ডার দেন ৪৫ হাজার গ্রাহক। চার দফায় ক্যাম্পেইনের পণ্য ডেলিভারিও দেওয়া হলেও পঞ্চম দফায় সাত হাজার ৩০০ গ্রাহকের অর্ডারের পণ্য দিতে পারেনি এ প্রতিষ্ঠান। এসব অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকদের অন্তত ২০০ কোটি টাকা আটকে গেছে এখানে।
উত্তরা মোটরসের তেজগাঁও এলাকার ডিলার এসকে ট্রেডার্সের কাছ থেকে মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে গ্রাহকদের দিয়েছে আলেশা মার্ট। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে নজরদারি এবং বকেয়া বাড়ায় আগস্ট মাস থেকে আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকটি মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও আলেশা মার্টের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।
ইভ্যালিসহ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে গ্রাহকদের বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা অনুসন্ধান শুরু করলে ক্রেতাদের টাকা ফেরত দিতে সময় নেয় আলেশা মার্ট।
সানবিডি/ এন/আই