ধারণার চেয়েও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে ডেল্টা’র চেয়েও অতিসংক্রামক করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন এই ধরন। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট করোনার ডেল্টা ও বিটা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় তিনগুণের বেশি পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক এক সমীক্ষায় এই কথা জানান। এ অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকান সেন্টার ফর এপিডেমিওলজিক্যাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিস (সাসেমা) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কমিউনিকেবল ডিজেসেস (এনআইসিডি) জানিয়েছে, সর্বশেষ অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন আগের সংক্রমণে পাওয়া সুরক্ষা এড়াতে সক্ষম।
নতুন গবেষণাটি চালানো হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য বিভাগের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে। এ গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে অনলাইনে। তবে এর রিভিউ এখনো সম্পন্ন হয়নি।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরন নিয়ে প্রাথমিক গবেষণায় বলা হয়েছে, ডেল্টা ও বিটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেশি। আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতাও রয়েছে ওমিক্রনের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এনআইসিডি’র মাইক্রোবায়োলোজিস্ট অ্যানে ভন গোতেবার্গ জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রন।
নভেম্বর মাস পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৮ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৫ হাজার ৬৭০ জন পুনরায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আক্রান্ত হওয়ার ৯০ দিনের ব্যবধানে করোনা পরীক্ষার ফল আবার পজিটিভ এলে ভাইরাসটির পুনরায় সংক্রমণ হয়েছে বলে ধরা হচ্ছে।
সাউথ আফ্রিকান ডিএসআই-এনআরএফ সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন এপিডেমিওলজিক্যাল মডেলিং অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের পরিচালক জুলিয়েট পুলিয়াম জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার প্রথম তিন ঢেউয়ে যারা সংক্রমিত হয়েছিলেন, তাদের অনেকের শরীরেই আবার ভাইরাসটি ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই আগে ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
এএ