সড়ক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ও সড়কে অরাজকতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজে দাঁড়িয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করেন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘লুটপাটের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ছাত্র হত্যার আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও,’ ‘গুজব ছড়িয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’ স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নাঈম হাসান ও মাইনুদ্দিন ইসলামের স্মরণে শোক জানাতে নুতন কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
আগামীকাল সোমবার একই স্থানে কালো ব্যাজ ধারণ ও মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ করবেন তারা।
এর আগে গতকাল শনিবার সড়কের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে খিলগাঁও মডেল কলেজের শত শত শিক্ষার্থী রামপুরা ব্রিজের হাতিরঝিল থানা অংশে লাল কার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা লাল কার্ড উঁচু করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গত শুক্রবারও ১১ দফা দাবিতে রামপুরায় সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। খিলগাঁও মডেল হাইস্কুল, খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরে অংশ নেন। ১১ দফা দাবিতে নানা শ্লোগান দেন তারা।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গত ৭ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে বাসের ভাড়া ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ নভেম্বর অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ২৪ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হন।পরে রামপুরায় মাঈনুদ্দিন নামের এক শিক্ষার্থী অনাবিল পরিবহণ বাসের চাপায় নিহত হয়।
তারপর থেকে নিরাপদ সড়ক, অর্ধেক ভাড়াসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীতে বাসে অর্ধেক ভাড়ার দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয় পরিবহণ মালিক সমিতি।
সানবিডি/ এন/আই