চলনবিলের বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে যেন সরিষা ফুলের হলুদ কার্পেট বিছানো। দিগন্তছোঁয়া হলুদাভ বর্ণে বদলে গেছে চলনবিলের রূপ। কৃষকরা আশা করছেন এবার বাম্পার ফলনের। এ কারণে কৃষকরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি কর্মকর্তারাও। এ বছর চলনবিল অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস সূত্র।
চলনবিলের তাড়াশ, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, ভাঙ্গুড়া ও সিংড়া উপজেলার মাঠগুলো ভরে উঠেছে হলুদ বর্ণের সরিষা ফুলে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষা আবাদে তেমন কোনো পোকার আক্রমণ না থাকায়
সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করেন কৃষকরা। সবাই বলছে তুলনামূলকভাবে এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। তা ছাড়া সময়মতো সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সরিষার আবাদ করতে কৃষককে বেগ পেতে হচ্ছে না। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে জেলা কৃষি অফিস থেকে আগেই বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, এ বছর কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপকভাবে সচেতন করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে মতবিনিময় সভা ও উঠান বৈঠক করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কী করণীয় সে বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হয়েছে। তা ছাড়া কর্মকর্তারা সবসময় মাঠ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নিঃসন্দেহে এবার সরিষার বাম্পার ফলন হবে।
সানবিডি/এনজে