লক্ষ্মীপুর সদর ও রায়পুরে চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে ধানের খড়। এতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি গরুর খামারিরা।
সারা বছরের গো-খাদ্যের জোগান দিতে সাধারণত এই সময়ে গরু খামারিরা শুকনো খড় সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে খড়ের মূল্য বেড়েই চলছে বলে জানান স্থানীয় খামারিরা।
রায়পুরের উদমারা, হায়দরগঞ্জ, খাসেরহাট ও চরমান্দারি ও হামছাদিসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও প্রান্তিক গ্রামে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতি গণ্ডা (৮ শতাংশ) জমির খড় ক্ষেতেই বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা করে। শুকিয়ে বাড়ি ও খামারে নিতে খরচ পড়ে প্রায় ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ট্রাক ও ট্রলিভর্তি করে দূরদূরান্তে যারা খড় নিচ্ছেন, তাদের আরও বেশি খরচ হচ্ছে।
সদর উপজেলার চররুহিতা গ্রামের একজন ক্ষুদ্র খামারি জানান, ৭-৮টা গরু পালন করি। গরুর খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের সারা বছরের একমাত্র ভরসা খড়। কিন্তু এ বছর যেভাবে খড়ের দাম বেড়েছে, আগামীতে গরু পালন করা সম্ভব হবে কিনা দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ধানের চেয়ে খড়ের দাম বেশি মনে হচ্ছে।
রায়পুরের চরআবাবিল ইউপির কৃষক সুজল মাঝি জানান, বর্তমানে ধান চাষে খরচ অনেক বেশি হয়। কীটনাশকসহ দিনমজুরের খরচ সব কিছুই বেড়েছে। সে কারণেই খড়ের দামও বেশি। এখন ধানের দাম ঠিকমতো পাওয়া যায় না। খড়ের দাম বাড়াতে আমরা কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারছি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আইয়ুব মিঞা বলেন, খড়ের দাম বাড়াতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও হতাশ গরু খামারিরা। গরুর মাংস ও দুধের দামে প্রভাব পড়তে পারে। আমরা খামারিদের সার্বিকভাবে সহযোগিতার চেষ্টা করছি।
সানবিডি/ এন/আই