বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃষ্টির বেগও বেড়ে চলছে মিরপুরে। মাঠেই আসেননি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা গড়ানোর সম্ভাবনা বেশ ক্ষীণ।
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব পড়েছে মিরপুর টেস্টে। অসময়ের বৃষ্টি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে রাখছে বড় ভূমিকা।
আলোকস্বল্পতায় প্রথমদিন খেলা হয়েছে ৫৭ ওভার। রোববার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনে খেল হল মোটে ৬.২ ওভার। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, তৃতীয় দিনেও অলস সময় কাটাতে হবে দুদলের ক্রিকেটারদের।
রোববার সকাল থেকে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে থেমে থেমে। দুপুরের পর বেড়ে যায় কিছুটা। ঘড়ির কাটায় যখন বেলা তিনটা, আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হয় দিনের খেলা পরিত্যক্তের খবর।
সোমবার মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালে সেটি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ, ‘ঘূর্ণিঝড় উপকূল থেকে এখনো দূরে আছে। যখন কাছাকাছি চলে আসবে বৃষ্টিটা তখন আরও বাড়বে।’
‘আমার ধারণা মধ্যরাত বা সকাল থেকে বৃষ্টি বাড়বে। রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আকাশ পরিষ্কার হতে ধারণা করা হচ্ছে সোমবার দিন পুরোটা এবং পরের দিনের অর্ধেক পর্যন্ত সময় লাগবে।’
দুপুর একটা পর্যন্ত যা অবস্থা, টানা বৃষ্টির ব্যাপারটাই ঘটে চলেছে মিরপুরের আকাশে।
টেস্টের দ্বিতীয় দিন লাঞ্চ বিরতির পর শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের খেলা। ৬.২ ওভার হওয়ার পর ফের শুরু হয় বৃষ্টি। পাকিস্তানের সংগ্রহ তখন ২ উইকেটে ১৮৮ রান। বাবর আজমের পর ফিফটি ছুঁয়েছেন আজহার আলী। তৃতীয় উইকেটে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটির অবদান ১১৮ রান। অধিনায়ক বাবর ৭১ ও আজহার ৫২ রানে অপরাজিত আছেন।
শনিবার টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় পাকিস্তান। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে সফরকারীরা ২ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৬১ রান। মাঠে গড়ায় দুটি সেশন।
প্রথম সেশনে দুই উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেশনটি তারা পার করে নির্বিঘ্নে। বাংলাদেশ সফরে প্রথম ফিফটির দেখা পান অধিনায়ক বাবর আজম। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম নেন দুটি উইকেট।
পাকিস্তানের ইনফর্ম ওপেনার আবিদ আলিকে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে থাকার সময় বোল্ড করেন তাইজুল। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে ২৫ রানে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান বাঁহাতি স্পিনার। ৭০ রানে দুই উইকেট হারানো পাকিস্তান ১১৮ রানের অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ভালো অবস্থানে আছে।
সানবিডি/ এন/আই