বৈশ্বিক কফির বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েজ বিশেষ করে জাহাজীকরণ প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে পানীয় পণ্যটির দাম। অ্যারাবিকা কফির পর এবার রেকর্ড সর্বোচ্চে উঠেছে রোবাস্তা কফির দাম। শুক্রবার ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক্সচেঞ্জে (আইসিই) এটির দাম বেড়ে ১০ বছরের শীর্ষে পৌঁছায়। খবর নাসডাক ও রয়টার্স।
এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে জাহাজীকরণসংক্রান্ত যে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, তা এখনো কাটেনি। ফলে শীর্ষ উৎপাদক দেশগুলো কফি রফতানিতে হিমশিম খাচ্ছে। সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না আমদানিনির্ভর দেশগুলো। ফলে পণ্যটির দাম লাফিয়ে বাড়ছে।
আইসিইতে জানুয়ারিতে সরবরাহ চুক্তিতে রোবাস্তা কফির দাম ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টনের দাম স্থির হয়েছে ২ হাজার ৩৮৬ ডলারে। অধিবেশনে পণ্যটির দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪১৯ ডলার পর্যন্ত। ২০১১ সালের আগস্টের পর এটি সর্বোচ্চ দাম।
এদিকে রোবাস্তার পাশাপাশি বেড়েছে অ্যারাবিকা কফির দামও। আইসিইতে মার্চে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি পাউন্ডের দাম উঠেছে ২ ডলার ৪৩ সেন্টে, যা আগের কার্যদিবসের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। নভেম্বরের শেষ দিকে প্রতি পাউন্ড অ্যারাবিকার দাম ২ ডলার ৪৮ সেন্টে উঠে আসে, যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যটির দাম আবারো রেকর্ড উচ্চতার দিকে এগোচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বিশ্বজুড়ে জাহাজীকরণ জটিলতার কারণে কফির বাজারে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। পাশাপাশি শীর্ষ অ্যারাবিকা উৎপাদক ব্রাজিলে খরার কারণে কফি খাতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। আগামী বছরও দেশটিতে অত্যন্ত স্বল্প পরিমাণ কফি উৎপাদনের আশঙ্কা রয়েছে।
সানবিডি/এনজে