ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যায় উন্নীত করা হবে। এ জন্যে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার পার্রলিমেন স্কুল অফ মেডিসিন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃক যৌথ আয়োজিত সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম ইন ইমারজেন্সি মেডিসিনের (সিপিইএম) সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রীসভায় জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (একনেক) সভায় ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি বার্ন ইন্সটিটিউটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে করোনার ৩০ কোটি টিকা এসেছে। আমাদের এতো দরকার নেই, তারপরও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২২ কোটি টিকা আনা হয়েছে। ৮ কোটি টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন দেশ থেকে দেওয়া হয়েছে। আমরা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছি।’
জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘রোগীদের জন্য ইমারজেন্সি মেডিসিন খুবই প্রয়োজন। আজকের সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম ইন ইমারজেন্সি মেডিসিন (সিপিইএম) যৌথ আয়োজন করে পার্রলিমেন স্কুল অফ মেডিসিন, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ। এই কোর্সটি জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব রাখবে।’
সাত দিনের এই কোর্সটিতে পাঁচ দেশি-বিদেশি শিক্ষকের সমন্বয়ে ২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আল নুর, পার্রলিমেন স্কুল অফ মেডিসিন, ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার ক্লিনিক্যাল ইমারজেন্সি মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক মি গান রায়বারসিজ্যাক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুল আলম চৌধুরী, আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মো. শাহ আলম সারওয়ার, সিপিইএমের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডা. আবুল হানিফ (টাবলু) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এএ