বাংলাদেশকে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সংগে যুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং পরিচালনা পর্ষদের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিএসসিসিএল গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৬ (SEA-ME-WE-6) (SMW-6) নামক সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের সংগে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই ধারাবাহিকতায় এসএমডব্লিউ-৬ (SMW-6) কনসোর্টিয়াম কর্তৃক সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম সরবরাহ, ইনস্টলেশন এবং কমিশনিংয়ের জন্য মার্কিন কোম্পানি ‘সাবকম’ (SubCom)-কে সরবরাহকারী নির্বাচন করা হয়।
বিএসসিসিএল গত ২৩ সেপ্টেম্বর এসএমডব্লিউ-৬ (SMW-6) কনসোর্টিয়ামের সংগে নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে বিএসসিসিএল পূর্বে (সিঙ্গাপুর প্রান্তে) এবং পশ্চিমে (ফ্রান্স/ইতালি প্রান্তে) আলাদাভাবে ৬০০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি পাবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)-এর ১৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানি আইন, ১৯৯৪-এর সম্প্রতি সংযোজিত ধারা ১১ক-এর উপধারা (ক)-এর বিধান অনুসারে কোম্পানির বর্তমান নিবন্ধিত নাম ‘বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড’ (Bangladesh Submarine Cable Company Limited)-এর স্থলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস্ পিএলসি (Bangladesh Submarine Cables PLC) এবং বাংলায় ‘বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড’-এর স্থলে ‘বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস্ পিএলসি’ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। একসংগে পরিচালনা পর্ষদের সভায় কোম্পানির পরিবর্তিত নামের সংক্ষিপ্তরূপ ‘বিএসসিসিএল’ (BSCCL)-এর পরিবর্তে ‘বিএসসিপিএলসি’ (BSCPLC) করার বিষয়টিও অনুমোদিত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কোম্পানির মোট ব্যান্ডউইথ লিজের পরিমাণ ছিলো ১১০৩.০০ জিবিপিএস; যার বিপরীতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কোম্পানির ব্যান্ডউইথ লিজের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫৬৪.০০ জিবিপিএস। বিএসসিসিএল ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ১৯০.৭৩ কোটি টাকা নীট মুনাফা করেছে এবং ৩০ জুন ২০২১-এ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার্স ইক্যুইটি ৮৬৫.৬৭ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
সভায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, পরিচালনা পর্ষদের প্রতিবেদন ও শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষিত ও অনুমোদিত হয়।
এএ