খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যেসব সুপারিশ করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা যে সুপারিশ করেছেন, সেই পদ্ধতিতে অন্য কোনো দেশে মুক্তি দেওয়ার নজির আছে কিনা সেই বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অচিরেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে তার আবাসিক অফিসে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রকৃত ও ন্যায় বিচার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এ রায়ে আপাতদৃষ্টিতে প্রকৃত বিচার ও ন্যায়বিচার হয়েছে। প্রসিকিউশন টিম ও বিচার বিভাগের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা। বিজ্ঞ আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের দেশে আইনের শাসন রয়েছে। এমন হত্যাকাণ্ড বা অপরাধ করে কেউ নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াতে পারবে না। রাজনীতি করতে পারবে না।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এটা ডেথ রেফারেন্স, এর নথিপত্রকে বলে পেপার বুক। আমরা তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করে দেবো। যেন পেপার বুক তৈরির জন্য হাইকোর্টে কোনো বিলম্ব না হয়।
তিনি বলেন, কিছু কিছু মামলা আছে, যেগুলো সমাজের বিবেককে নাড়িয়ে দেয়। সরকারের দায়িত্ব এসব মামলা দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা— আইনের শাসন দেশে বিরাজ করছে। সেই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সফল।
আনিসুল হক বলেন, এই মামলায় ২৫ আসামির মধ্যে তিন জন শুরু থেকেই পলাতক। বাকি ২২ জন আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় মামলাটির রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সানবিডি/ এন/আই