গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) সর্বশেষ নিলামে সাত বছরের সর্বোচ্চে উঠেছে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে দুগ্ধপণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু সে অনুপাতে নেই পর্যাপ্ত সরবরাহ। এ কারণে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। অন্যদিকে ২০২১-২২ মৌসুমে ফন্টেরা কো-অপারেটিভ গ্রুপ খামারিদের ফার্মগেট দুধের সর্বোচ্চ মূল্য পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টিও দুগ্ধপণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের আগস্টের পর থেকেই দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত আছে। এ ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জিডিটি নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০১৪ সালের মার্চের পর সর্বোচ্চ।
এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর বিশ্বজুড়ে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে লক্ষণীয় মাত্রায়। আবহাওয়াও ছিল দুধ উৎপাদনের জন্য প্রতিকূল। এসব কারণে চলতি মৌসুমে নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের প্রধান প্রধান দেশে দুগ্ধপণ্য উৎপাদন কমে গেছে। এটি দুগ্ধপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে। ফন্টেরার নিউজিল্যান্ডে দুধ সরবরাহ গত মৌসুমের এ সময় প্রায় ৩ শতাংশ কমে গিয়েছিল। চলতি মৌসুমও নিম্নমুখী সরবরাহের মধ্য দিয়েই শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, সর্বশেষ নিলামে প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯০ ডলারে। নিলামে সর্বোচ্চ ৩৩ হাজার ৭৬৭ টন দুগ্ধপণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছে ৩১ হাজার ৯২ টন। সর্বশেষ নিলামে ১৬৭ জন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠান অংশ নেন। এর মধ্যে জয়ী হয়েছেন ১০৪ জন।
সানবিডি/এনজে