চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়নে গণধর্ষণ ও ডাকাতির মামলায় পাঁচজনের ডাবল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ( ৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো.মঈন উদ্দীনের আদালত এ রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মাতব্বর, আবু সামা, জহিরুল ইসলাম প্রকাশ সোহেল হাওলাদার, মহিদুল ইসলাম প্রকাশ মাইদুল ও ইলিয়াস শেখ প্রকাশ সুমন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহ মীরপুর গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ। বাড়িটি থেকে ডাকাতরা ১১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ৫টি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। কর্ণফুলী থানার মামলা নম্বর ২৭(১২)২০১৭ ও চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর মামলা নম্বর ২৩৮/১৯।
চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম সেন্টু বলেন, গণধর্ষণ ও ডাকাতির মামলায় পাঁচজনকে ডাবল যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে ৩ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গণধর্ষণ ঘটনায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা। ডাকাতির ঘটনায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রায়ের সময় চার আসামি উপস্থিত থাকলেও ইলিয়াস শেখ প্রকাশ সুমন পলাতক রয়েছে। চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
এএ