প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য সকলকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানির কর্মচারীরাও কোম্পানি’র আইপিও-এর শেয়ার বরাদ্দ পায়। কর্মীরা যদি মালিকানা না থাকে তবে অনেকাংশে কোম্পানির আশানুরুপ উন্নয়ন হয় না। কর্মচারীরা মালিকানায় থাকলে কোম্পানির উত্তোরত্তর উন্নয়ন সাধিত হয়।
তিনি বলেন, কোম্পানির ১৫% শেয়ার কর্মীদের মালিকানায় থাকলে কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের জন্য ভালভাবে কাজ করবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সাথে তাদের নিজেদেরও উন্নয়ন হবে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃক ভার্চ্যুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ‘New Module of ESS regarding allotment of 15% IPO shares among Employees/ others category’ এর উদ্বোধন ও সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন। পরবর্তীতে বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ এই মডিউলটি শুভ উদ্বোধন করেন।
শেখ শামসুদ্দিন আহমদ বলেন, কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আইপিও’র শেয়ার বরাদ্দের জন্য সফটওয়্যারে নতুন যে মডিউলটি তৈরী করা হয়েছে, তা ডিএসই’র জন্য একটি বড় অর্জন। নতুন নতুন সফটওয়্যার শুধু তৈরী করলেই হবে না, পুঁজিবাজারে বিভিন্ন ধরনের নতুন প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে হবে। এই বিষয়ে ডিএসইকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও ডিএসই’র যে মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে সেগুলো পরিপালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার, এফসিএ, এফসিএমএ।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম তার বক্তব্যে বলেন, অনেক সময় কর্মচারী ও কর্মকর্তাবৃন্দ তাদের কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। কারণ তারা মনে করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কমপ্লায়েন্স ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে তাদের জন্য ১৫% শেয়ার বরাদ্দের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ইনসেনটিভের কারণে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ কোম্পানির তালিকাভূক্তিতে উদ্ধুদ্ধ হবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো বিও হিসেবে ২০,০০০ টাকা থাকতে হবে না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হলে চলবে। তিনি আরও বলেন, একজন এমপ্লয়ী কোটা আবেদন করলে তিনি আর জেনারেল কোটায় আবেদন করতে পারবে না। কোন কোম্পানি যাতে আইপিও’র সময় নতুন ব্যক্তিকে এনে এমপ্লয়ী বানিয়ে আবেদন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা এই সফটওয়্যারে রয়েছে। এই নতুন মডিউলটিতে কোন সমস্যা থাকলে বা বুঝতে অসুবিধা হলে সংশ্লিষ্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করলে তা সমাধান করা হবে।
অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল করিম।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিএসই ট্রেনিং একাডেমির হেড এবং সিনিয়র ম্যানেজার মুহাম্মদ রনি ইসলাম। এছাড়াও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ডিএসই’র লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ম্যানেজার মোঃ রবিউল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তিনি ইএসএস-এর মাধ্যমে কর্মচারী/ অন্যান্য শ্রেণীতে আইপিও শেয়ার বন্টনের প্রক্রিয়া ও সফটওয়্যারের নতুন মডিউলটির সুবিধা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ডিএসই’র প্রধান রেগুলেটরী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল লতিফ।
এএ