চলতি বছরের শীতকালীন সময়সূচি থেকে নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ইউএসএর সেফটি অডিট অনুযায়ী-বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিএএবি) বর্তমানে ক্যাটাগরি-টু এর আওতাভুক্ত হওয়ায় নিউইয়র্কে এই মুহূর্তে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। সিএএবি কর্তৃপক্ষের ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত হওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সিগনিফিক্যান্ট সেফটি কনসার্নের (এসএসসি) প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা গেছে। বাংলাদেশ বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ক্যাটাগরি-১ উন্নীত হওয়া ও বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা সাপেক্ষে ২০১৬ সালের শীতকালীন সময়সূচি থেকে নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান মেনন বলেন, কন্ট্রিবিউশন মার্জিন বিবেচনায় বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানের ১২টি লাভজনক রুট রয়েছে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের অথনৈতিক উন্নয়ন তথা বিশ্বে বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যেও হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকার আশেপাশে সর্বাধুনিক আর্ন্তজাতিক মান সম্পন্ন ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর’ শীর্ষক নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। প্রকল্পের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পাদনের লক্ষ্যে পরামর্শক নিয়োগে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব তহবিলে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়। ওই প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক নিয়োগে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে শর্ট লিস্টেড করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এরইমধ্যে আরএফপি ইস্যু করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিমানবন্দরের বিস্তারিত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা (ডিএফএস) সম্পাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০১৭ সাল। পরবর্তীতে স্থান নির্ধারণ সাপেক্ষে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক মূল প্রকল্পের কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।