ক্যান্সারের জন্যে বায়ো মার্কার, গরীব মানুষের মুক্তির উপায়
আপডেট: ২০১৬-০২-০৭ ২৩:৩৬:৫০
আপনারা অনেকেই শুনে অবাক হবেন যে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টের জন্যে যে সব ঔষুধ ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় সবগুলি ই সব রোগীর উপর সমান ভাবে কাজ করে না। প্রায় সব ক্ষেত্রে ই এইসব ঔষুধের পার্শপ্রতিক্ক্রিয়া এত বেশি হয় যে রোগী ক্যান্সারের জন্য না ভুগলেও এইসব ওষুধের জন্যে ভূগে; কিছু রোগী অন্যদের তুলনায় ভূগে বেশি, অনেকেই মারা যায় এইসব ঔষুধের জন্যে। আফসোসের কথা যে এইসব মানুষ, যাদের উপর ঔষুধ কাজ করবে না, তাদের কে বাছাই করার কোনো উপায় ডাক্তারদের কাছে নাই। যদি থাকত, তাহলে ডাক্তাররা চিকিত্সা দেয়ার আগে দেখে নিতে পারত যে এই রোগী এই ঔষুধে ভালো হবে, কাজেই তাকে চিকিত্সা দেয়া যায়, অথবা এই মানুষের শরীরে এই ঔষুধ কাজ করবে না ( অথবা এই ঔষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়া এই রোগীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি )। কাজেই এদেরকে এই ঔষুধ না দিয়ে অন্য কোনো ঔষুধের কথা ভাবা দরকার।
সারা পৃথিবীতে এখন রিসার্চের জন্যে এইটা হচ্ছে হট টপিক। এফ ডি এ ( অল্প কথায়: আমেরিকার একটা সংস্থা যারা কোন ঔষুধ বাজারে আসবে আর কোনটা বাজার থেকে সরিয়ে নিতে হবে তা নিয়ন্ত্রণ করে) কিছুদিন আগে একটা নতুন আইন করেছে যে যেসব ঔষুধের সাথে রোগীর শরীরে কার্যকারিতা টেস্ট করার কোন উপায় থাকবে না তারা সেই সব ঔষুধ কে বাজারে ছাড়ার লাইসেন্স দেবে না।
কিভাবে একটা ঔষুধ একটা রোগীর শরীরে কাজ করবে কি না তা জানা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে ‘বায়ো মার্কার’. সারা পৃথিবীতে সাইন্টিস্টরা এইজন্য গবেষণা করছে ( আমিও এই দলে কাজ করি)। কিছু অগ্রগতি হয়েছে কিনতু দিল্লি এখনো অনেক দূর। গরীব দেশে যেখানে দামী চিকিত্সা দিতে হলে ঘটি এবং বাটী দুটোই বেচতে হয়, সেখানে এই চিকিত্সা রোগীর জন্যে কাজ করছে কি না, এইটা জানা রোগী এবং রোগীর সজনদের কাছে বিশেষ জরুরী বলে আমার মনে হয়।