ঘূর্ণিঝড় রাইয়ের তাণ্ডবে ফিলিপাইনের দিনাগাট নামে একটি দ্বীপ মাটিতে মিশে গেছে।
দেশটির মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যে ৭৫ জনের প্রাণ কেড়েছে। খবর আরব নিউজের।
আশঙ্কা করা হচ্ছে— মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। প্রচণ্ড এ ঘূর্ণিঝড়ে আহত হয়েছেন কয়েকশ লোক। ঝড়ের প্রভাবে দেশটির বেশিরভাগ প্রদেশজুড়ে বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।
সর্বোচ্চ প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়া এই ঘূর্ণিঝড় সাম্প্রতিককালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা সবচেয়ে বিধ্বংসী ছিল বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে চলে গেছে ঝড়টি। ঝড়ের আগে কমপক্ষে তিন লাখ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত বলে মনে করছে প্রশাসন।
যে ৭৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগেই ভেঙে পড়া গাছের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। সংবাদমাধ্যমগুলোর তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে— তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে রয়েছে বেশিরভাগ বাড়ি। উড়ে গেছে বহু ভবনের ছাদ। ঘূর্ণিঝড়টি দেশের যে দ্বীপটিতে সবার আগে আছড়ে পড়েছিল, সেই দিনাগাটের পরিস্থিতি ভয়াবহ।
দ্বীপটির গভর্নর আর্লিন ব্যাগ-আও প্রদেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে লিখেছেন— ‘দ্বীপটি পুরো মাটিতে মিশে গেছে।’
আর্লিন আরও জানান, দ্বীপটির রাজধানী থেকে ইতোমধ্যে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে শহরতলি অঞ্চলগুলোর কী পরিস্থিতি তা অজানা। কারণ সেগুলো একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার, পানি, অস্থায়ী ছাউনি, জ্বালানি এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দ্বীপটিতে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। দ্বীপটির ৯৫ শতাংশ বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে।
শিয়ারগাঁও ও বোহল প্রদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে প্লাবনের জেরে অনেকেই বাড়ির ছাদ এবং গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করছেন উপকূলরক্ষী বাহিনী।
প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে জানান, কোভিড মোকাবিলায় দেশের আপৎকালীন তহবিলের বেশিরভাগটাই খরচ হয়ে গেছে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব প্রশাসনকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রদেশগুলোকে সাহায্য পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
সানবিডি/ এন/আই