কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান আসামি মোতাহার র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
সোমবার ভোরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চিতাখেলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
র্যাব সদর দফতরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার উপ-পরিচালক মেজর রুম্মন মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব ১০ এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতব্বর জানান, কেরানীগঞ্জের চিতাখোলা এলাকায় ভোর ৪টার দিকে র্যাব ১০এর একটি টহলদল দুটি মোটরসাইকেল দেখতে পায়। এ সময় র্যাবের দল মোটরসাইকেল দুটি থামাতে সিগন্যাল দেয়। কিন্তু মোটরসাইকেল দুটি না থামিয়ে সামনের মোটরসাইকেল থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র্যাবও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি বলেন, গুলিবিনিময়কালে পেছনে থাকা মোটরসাইকেলটি পালিয়ে যায়। আর সামনের মোটরসাইকেলের দু'জনের মধ্যে একজন মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। আরেকজনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে র্যাব সদস্যরা।
এ সময় তাকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, নিহত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায় তার নাম মোতাহার। পরে র্যাব অনুসন্ধানে জানতে পারে এই মোতাহার কেরানীগঞ্জের শিশু আবদুল্লাহ হত্যা মামলার প্রাধান আসামি। যার বাসায় আবদুল্লাহর লাশ পাওয়া গিয়েছিল।
২৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর মুগারচর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। রাতে নানা মারফত আলী কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে একটি নম্বর থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
পরিবারের দাবি, অপহরণকারীদের কথামতো তারা দুই দফায় কয়েকটি নম্বরে ২ লাখ টাকা বিকাশের মাধ্যমে দিয়েছেন। অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি রোববার রাতে নানা মারফত আলী বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন। পরে ২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেশী মোতাহার হোসেনের বাড়ির ছাদে রাখা একটি ড্রামের ভেতর থেকে শিশু আবদুল্লাহর লাশ পাওয়া যায়।