প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফরের ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, আগামী দিনগুলোতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন শুহ বিদায়ী সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
গত নভেম্বরে প্যারিস সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ও জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার সরকার কোভ্যাক্সের অধীনে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে এবং একই মাসে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একটি ইন্দো-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলন করতে চলেছে। ওই সামিটে তারা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দেশগুলোর সম্পর্কের অনেক দিক কভার করেছে। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কোভিড-১৯ এর প্রভাব সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা এবং মহামারি সত্ত্বেও আমরা আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তার ফলপ্রসূ কার্যকালের জন্য প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে তার গতিশীল ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী আফগানিস্তানে ফ্রান্সের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। জিন-মারিন শুহ ঢাকায় দায়িত্বপালনকালে সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, মহামারির সময়ও প্রবৃদ্ধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ফরাসি রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে অ্যালায়েন্স ফ্রান্সিস সম্প্রসারণ করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এএ