সাকার স্ত্রীর নাটক
আপডেট: ২০১৫-১০-০৫ ১৯:২৪:৫৬
রায় ফাঁসের মামলায় চার্জ শুনানির ধার্য দিনে বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী সোমবার আদালতে হাজির হন।
আইনজীবীরা তাদের স্বাক্ষরিত হাজিরাও মামলার নথিতে দাখিল করেন। বেলা দুইটার সময় শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সঙ্গত কারনে বেলা ৪টায় শুনানি শুরু হয়। কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাদ কাদের চৌধুরীর হাজিরা নথি থেকে তুলে নিয়ে অসুস্থতার জন্য তিনি আদালতে আসতে পারেনি মর্মে সময় প্রার্থণা করেন আইনজীবীরা।
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শাসমুল আলম যথারীতি অন্যান্য ধার্য তারিখের ন্যায় সোমবারও সময় মঞ্জুর করে আগামী ১৫ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
অথচ শুনানির আগে সোমবার আসামি ফারহাদ কাদের চৌধুরীর ও তার ছেলে হুমাম কাদের চৌধুরী ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীমের কক্ষে বসে ছিলেন।
এ ব্যাপারে পিপি শামীম জানান, হাজিরা দিয়েও কেন তা প্রত্যাহার করে নিলেন তা আমার বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে ফারহাদ কাদের চৌধুরী অসুস্থতার কথা বলে বারবারই সময় নিচ্ছে। ওই কারণে ২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল হলেও এ পর্যন্ত চার্জগঠন হয়নি।
শুনানিকালে ব্যারিস্টার একেএম ফখরুল ইসলাম, ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।সাকা চৌধুরীর ছেলে জামিনে থেকে আদালতে হাজির হন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায় ঘোষণার আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সংবাদকর্মীদের দেখান। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ওই বছর ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ