আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (এনসিসি) নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারসহ মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২০৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) ছিলো এই সিটি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই।
মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ুর রহমান জানান, বাছাইয়ে দু’জন মেয়র প্রার্থী, একজন সংরক্ষিত নারী আসন ও চারজন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মেয়র পদে আটজন, নয়টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৬ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬৬টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিকে রইলেন মেয়র পদে ছয়জন, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৫জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬২ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে-
১. এ বি এম সিরাজুল মামুন- খেলাফত মজলিস;
২. তৈমুর আলম খন্দকার- স্বতন্ত্র;
৩. মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ;
৪. মো. জসীম উদ্দিন- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন;
৫. মো. রাশেদ ফেরদৌস- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং
৬. সেলিনা হায়াৎ আইভী- বাংলদেশ আওয়ামী লীগ।
বাতিল হয়েছে- স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ ও মো. কামরুল ইসলাম-এর মনোনয়নপত্র।
গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন। ইসি’র ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৮ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।
২০১১-এ সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার এই সিটিতে হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন।
প্রথমবার নয়টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬-এ সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার সব কেন্দ্রে ভোট হবে ইভিএমে।
এএ