পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে পারলেন না চৌধুরী মনজুর লিয়াকত। প্রতিষ্ঠাটির এই পদের জন্য তাকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। তার পরিবর্তে একজন স্বচ্ছ ইমেজের যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে চৌধুরী মনজুর লিয়াকত বর্তমানে আরেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন ক্যাপিটালের এমডি। ইসলামিক ফাইন্যান্সের এমডি নিয়োগে অনাপত্তি চেয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর চিঠি দেয় প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন পর্যালোচনা শেষে গত মঙ্গলবার চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আমানতকারীদের স্বার্থে চৌধুরী মনজুর লিয়াকতকে এমডি হিসেবে অনাপত্তি দেওয়া গেল না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০১৫ সালের সার্কুলারের আলোকে অনতিবিলম্বে একজন স্বচ্ছ ইমেজের যোগ্য ব্যক্তিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের নিজস্ব সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানে দেওয়া ঋণে অনাদায়ী সুদ রয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। আর প্রভিশন ঘাটতি আছে ৪৩ কোটি ২২ লাখ টাকা। একবারে এই অর্থ সংরক্ষণের মতো সামর্থ্য না থাকায় তা সংরক্ষণে ৮ ও ৯ বছর সময় নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ হিসাবে প্রতি বছর ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকা সংরক্ষণ করার কথা। তবে এক টাকাও সংরক্ষণ না করেই ২০২০ সালের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে অনাদায়ী সুদ সমন্বয় ও প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যালোচনায় এ অনিয়ম ধরা পড়ার পর প্রথমে প্রতিষ্ঠান ও সংশ্নিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না জানতে চেয়ে গত ৬ অক্টোবর নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইউনিয়ন ক্যাপিটালের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে না পেরে গত ৩ নভেম্বর এক কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।