পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে বেসরকারি খাতের প্রথম শরীয়াহ ভিত্তিক বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড। ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসেবেও যুক্ত হয়েছে গ্রীন সুকুক বন্ড। আজ বৃহস্পতিবার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড বিও হিসাবে এই সুকুক ক্রেডিট করেছে। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর কোম্পানির হিসেবে সব টাকা জমা হয়েছে। সব মিলিয়ে খুব শিগগির দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হতে যাচ্ছে প্রথম সুকুক বন্ডের লেনদেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসি সূত্র মতে, প্রতিষ্ঠানটি ৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এ টাকায় বেক্সিমকো তাদের টেক্সটাইল ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বেসরকারি পর্যায়ে এটিই প্রথম সুকুক বন্ড। এর আগে সুকুক বন্ড ছেড়ে সরকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়। এরই মধ্যে দুই দফায় সেই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
উল্লেখ্য বেক্সিমকোর গ্রিন সুকুকের ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওতে উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ ছিলো। বাকি ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকার প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের থেকে ৭৫০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের থেকে ১৫০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য বরাদ্দ ছিলো। গত ১৬ আগস্ট সুকুকের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়।
যারা যারা সুকুকে আবেদন করেছে: দেশের প্রথম গ্রিন সুকুক বন্ডে আবেদন করেছে, জনতা ব্যাংক ২২০ কোটি,দ্যা সিটি ব্যাংক ২০০ কোটি,রুপালি ব্যাংক লিমিটেড ২০০ কোটি, অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড ১৫০ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংক ১০০ কোটি,শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড ১০০ কোটি, ঢাকা ব্যাংক ১০০ কোটি,ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড ১০০ কোটি, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৮০ কোটি, এবি ব্যাংক লিমিটেড ৭০ কোটি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ৬০ কোটি,ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫০ কোটি, এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ ৫০ কোটি, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড ৫০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ৫০ কোটি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৫০ কোটি,উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ৪০ কোটি,এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড ৩০ কোটি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড ২৫ কোটি, সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স ২৫ কোটি, সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড ২০ কোটি, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ২০ কোটি,বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ৮ কোটি, সোনালি লাইফ ২ কোটি, প্রাইম ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ২ কোটি, স্টান্ডার্ড ব্যাংক ১ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর্পোরেট ৩০০ কোটি টাকা। এখানে মোট টাকার পরিমাণ ২ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। বাকী টাকার মধ্যে বর্তমান শেয়ারহোল্ডাররা ২ কোটি টাকা,আন্ডাররাইটার ১৩৫ কোটি টাকা,পাবলিক সাবক্রিপসন ৪২৩ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে ৩৩৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সুকুকটির ট্রাস্টি হিসেবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও অগ্রণী ইক্যুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে।