সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে অভিযুক্ত করেছে সিঙ্গাপুর।আজ বৃহস্পতিবার দেশটির এক আদালতে ২৭ বছর বয়স্ক ওই বাংলাদেশিকে অভিযুক্ত করা হয়। এ নিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, আহমেদ ফয়সাল নামের ওই ব্যক্তিকে গত বছর ইন্টারনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের (আইএসএ) অধীনে গ্রেপ্তার করেছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। সেসময় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আহমেদ ফয়সালের বিরুদ্ধে আটকের আদেশ জারি করা হয়। ওই গ্রেপ্তারের আগে তিনি সিঙ্গাপুরে নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। ২০১৭ সালের প্রথম দিকে তিনি সিঙ্গাপুরে কাজ শুরু করেন।
এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৮ সালে তিনি উগ্রবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সেসময় তিনি সিরিয়ায় ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।
২০১৯ সালের মাঝামাঝি এসে তিনি হায়াত তাহরির আল-শাম নামের আরেক জিহাদি সংগঠনের প্রতি অনুগত হয়ে ওঠেন। তারাও সিরিয়ায় ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।
এরইমধ্যে আরেকটি তদন্তে বেড়িয়ে আসে যে, ২০২০ সালে ফয়সাল সিরিয়ায় ৮৯১ ডলার পাঠান। আদালত জানিয়েছে, ওই অর্থ পাঠাতে তিনি জাস্টগিভিং, হিরোয়িক হার্টস অর্গানাইজেশন এবং গিভ ব্রাইট নামের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেছেন। তিনি জানতেন, এই অর্থ সিরিয়ার জিহাদি সংগঠনগুলোর স্বার্থে ব্যয় করা হবে। এখন এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
যদি অপরাধ প্রমানিত হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বর্তমানে জারি থাকা আটকের আদেশ বাতিল হয়ে যাবে এবং আদালতের রায়ে যে সাজা হয় সেই সাজা প্রয়োগ করা হবে। একইসঙ্গে তিনি যাতে অন্য কাউকে উগ্রবাদে আকৃষ্ট করতে না পারেন সে জন্য তাকে কারাগারেও বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে।
দেশটির আইন অনুযায়ী, সন্ত্রাসবাদে কোনোভাবে অর্থায়ন করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ সিঙ্গাপুরি ডলার জরিমানা করা হতে পারে।
সানবিডি/এনজে