বর্তমান সরকার ইসলামের মৌলিক কথা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে নিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কেরাত সম্মেলন ২০২১ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান। আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থা (ইক্বরা) এ সম্মেলন আয়োজন করে।
আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার সভাপতি শাইখ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের শেখ, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক কুরআন তিলাওয়াত সংস্থার মহাসচিব সাখাওয়াত খান। এছাড়া বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, "ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। ইসলামকে যদি পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করা যায়, নিজের জীবনে চর্চা করা যায়, তাহলে আমরা নিজেরা যেমন ভাল থাকবো, তেমনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারবো। আল্লাহর সকল সৃষ্টির জন্য আমাদের কর্তব্য রয়েছে। সেটাকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অনিবার্য দায়িত্ব। এ জন্য দরকার ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে জানা। যত অসম্পূর্ণভাবে ইসলামকে আমরা জানবো, ততো আমাদের ভেতরে দীনতা থেকে যাবে। খন্ডিত ইসলাম প্রকৃত ইসলাম নয়। ইসলামের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টিকারীরা ইসলামের মঙ্গল কামনা করে না"।
ইসলামের উন্নয়নে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এ সময় মন্ত্রী বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী কোন আইনে দেশে পাস করবে না। তাঁর সরকার দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় মডেল মসজিদের নামে পরিচিত ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করছে। মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষাকে এমএ পাসের মর্যাদা দিয়েছে। সরকারি অর্থে মাদ্রাসায় বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। মাদ্রাসা শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আলেম-ওলামাদের সরকারি খরচে হজ পালনের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। মসজিদকেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে"।
ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস ছড়ায়, বোমাবাজি করে, উগ্রতা সৃষ্টি করে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আক্রমণ করে তাদের কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য এ সময় আহ্বান জানান মন্ত্রী।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর বিদায় হজের বাণীর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মন্ত্রী এ সময় বলেন, "আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি ইসলামের দায়িত্ব রয়েছে, মুসলমানের দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করলে, নিজের জীবন চর্চা করলে, আমার কাছে কেউই ক্ষতিকর নয়। আমার কাছে সব ধর্মের মানুষই নিরাপদ। এ জন্য কুরআনকে বুঝতে হবে। কুরআনের বক্তব্যকে নিজেদের জীবনে অনুধাবন করতে হবে"।
মন্ত্রী আরো যোগ করেন, "জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাও পরিপূর্ণভাবে ইসলামে বিশ্বাস করেন। তিনি ইসলামের উন্নয়নে নানা গ্রহণ করেছেন"।
কেরাত সম্মেলনে ইরান, আফগানিস্তান ও ফিলিপাইনের কারিগণ কুরআন তিলাওয়াতে অংশগ্রহণ করেন।
এএ