ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের নভেম্বরে ১০ শতাংশ কমেছে। এতে ভূমিকা রাখছে শীর্ষ উৎপাদক চীনের নিম্নমুখী উৎপাদন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দেশটির প্রপার্টি খাতে মন্দা দেখা দেয়ায় আগামী মাসগুলোয়ও নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে ওয়ার্ল্ড স্টিল অ্যাসোসিয়েশনের (ডব্লিউএসএ) তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন ১৪ কোটি ৩৩ লাখ টনে নেমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় উৎপাদন কমেছে ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। ওই সময় বৈশ্বিক ইস্পাত উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টন। এদিকে চলতি বছরের অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে উৎপাদন কমেছে ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে গত মাসে কমলেও জানুয়ারি-নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে ইস্পাতের বৈশ্বিক উৎপাদন বেড়েছে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭৫ কোটি ২৫ লাখ টনে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মহামারীর মন্দা কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে দ্রুত প্রসার ঘটায় চলতি বছর ইস্পাতের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে প্রবৃদ্ধি এসেছে ১১ মাসের উৎপাদনে।
তবে নভেম্বরে উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে চীন। গত মাসে দেশটিতে ইস্পাত উৎপাদন ২২ শতাংশ কমে ৬ কোটি ৯৩ লাখ টনে পৌঁছে। ক্যাপিটাল ইকোনমিস্টের প্রধান পণ্যবাজার অর্থনীতিবিদ ক্যারোলিন বেইন এক নোটে বলেন, গত মাসের মতো আগামী মাসগুলোয়ও চীনের ইস্পাত উৎপাদনে নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের নজিরবিহীন সংকট এবং কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে চীনে ইস্পাত উৎপাদন দুর্বল হয়ে পড়ে। আমরা মনে করছি, চীনের অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রপার্টি খাতে শ্লথগতির কারণে শিল্প ধাতুটির চাহিদায়ও ভাটা পড়েছে।
সানবিডি/এনজে