করোনাভাইরাসের টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ সম্পন্ন করেও কুয়েতে প্রবেশ করতে হলে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) থেকে নতুন এ বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সম্প্রতি কুয়েতের সিভিল এভিয়েশন ডিরেক্টরেটের দফতর থেকে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) বিষয়টি জানিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বেবিচককে দেওয়া চিঠিতে কুয়েতের সিভিল এভিয়েশন জানায়, কুয়েতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে যাত্রীকে করোনার আরটি পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। টেস্টে নেগেটিভ সনদ পেলেই কেবল কুয়েতে প্রবেশ করা যাবে।
পাশাপাশি যাত্রীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত যেকোনো টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নিতে হবে। থাকতে হবে টিকার সার্টিফিকেটও। পাসপোর্টের নাম ও সার্টিফিকেটের নামে মিল থাকতে হবে। এছাড়া সার্টিফিকেটটি কিউআর কোড সংবলিত হতে হবে। এতে টিকার নাম ও নেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে।
সব কাগজপত্র ঠিক থাকলে যাত্রীকে কুয়েতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, তবে ১০ দিনের কঠোর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের তৃতীয় দিন তাকে করোনার আরটি পিসিআর টেস্টও করাতে হবে।
কুয়েতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যে যাত্রীদের করোনা প্রতিরোধকারী টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়ার ৯ মাস হয়েছে, তারা টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। বুস্টার ডোজ নেওয়া প্রত্যেক যাত্রীকে পুরোপুরি ইমিউন ধরা হবে। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে বুস্টার ডোজ না নিয়ে কেউ কুয়েত থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী শ্রমিক কুয়েত আসা-যাওয়া করেন। বর্তমানে ঢাকা থেকে কুয়েত রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও কুয়েত এয়ারওয়েজ সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স ট্রানজিট ফ্লাইট চালাচ্ছে।
সানবিডি/ এন/আই