দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি আমানত রেখেছেন এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ২৩৯টি। এরমধ্যে শুধু করোনা সংকটের সময়ে দেড় বছরে নতুন করে কোটিপতি হয়েছেন ১৭ হাজার ২৯৩ জন। আর গত তিন মাসে নতুন কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৩২১ জন। যদিও গত এক বছরে করোনায় প্রভাবে অনেক মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
বিগত কয়েক বছরের আমানত ও ঋণ বিতরণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জুন শেষে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৯৯ হাজার ৯১৮ জন। অর্থাৎ গত তিন মাসে ব্যাংক খাতে নতুন কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৩২১ জন। ২০০৯ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংক খাতে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪৯২ জন।
২০২১ সালের জুন শেষে এই সংখ্যা দাড়ায় ৯৯ হাজার ৯১৮ জনে। অর্থাৎ গত ১৩ বছরে ব্যাংক ব্যবস্থায় নতুন কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৭৮ হাজার ৪২৬ জন । এরমধ্যে করোনাকালের দেড় বছরেই নতুন করে কোটিপতি হয়েছেন ১৭ হাজার ২৯৩।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের মার্চে দেশে মহামারি করোনা সংক্রমণ যখন শুরু হয়, তখন ব্যাংকে কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫টি। এই বছরের জুনে এটি বেড়ে হয়েছে ৯৯ হাজার ৯১৮টি। অর্থাৎ এই পরিমাণ অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার বেশি আমানত রাখা হয়েছে। যদিও গত সোয়া বছরের করোনাকালে এর কয়েকগুণ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে।
সানবিডি/এনজে