বিসিক জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) ৬টি শিল্পনগরী নির্মাণ প্রকল্প শেষ হচ্ছে। সমাপ্ত শিল্পনগরীগুলো হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পপার্ক, রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২, ভৈরব বিসিক শিল্পনগরী, নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী, বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী এবং রাউজান বিসিক শিল্পনগরী।
সরেজমিনে দেখা গেছে অধিকাংশ শিল্পনগরীর কাজ শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশেরও বেশি। কিছু জায়গায় প্লটও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটিতে কর্মসংস্থান হবে প্রায় দুই লাখ মানুষের।
এরই মধ্যে সিরাজগঞ্জ বিসিক শিল্পনগরীর কাজ শেষের পথে। ৪শ একরের এই শিল্পনগরী যমুনা সেতু থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার এবং ঢাকা-সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এতে শিল্পপ্লট রয়েছে ৪৮৭টি।
জানা যায়, কাজ শেষ হওয়ার আগেই এই শিল্পনগরীতে পাঁচটি বড় প্রতিষ্ঠান কারখানার জন্য প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে। এর মধ্যে কাজী ফার্ম ১০ একর, মতিন স্পিনিং মিল ২০ একর ও ওয়ান ফার্মা ১০ একর জায়গার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে। এছাড়া সেখানে কারখানা করতে চায় মন্ডল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবং এফএম প্ল্যাস্টিকস।
সিরাজগঞ্জে বিসিকের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল খালেক বলেন, ২০ শতক থেকে শুরু করে ২০ একর পর্যন্ত শিল্পপ্লট রয়েছে এ শিল্পনগরীতে। এরই মধ্যে পাঁচটি প্রস্তাবনা জমা পড়েছে, আরও অনেক কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করছে। আমরা চাই, বড় বড় প্রতিষ্ঠান এখানে তাদের কারখানা গড়ে তুলুক।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বারে এ শিল্পনগরীর সবটুকু জায়গা ব্যবহার হোক সেটা বিসিক চায়। এখানে সড়ক, রেল ও নৌ—তিন পথেই যোগাযোগ রয়েছে। এই শিল্পনগরীতে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, রাস্তা ও ড্রেনেজের ব্যবস্থাও অনেক উন্নত। এছাড়া প্রচুর গ্রিন স্পেস, ডাম্পিং ইয়ার্ড ও ডিপ টিউবওয়েলের আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে প্রাকৃতিকভাবে একটি ২০ একরের লেকও রয়েছে।
শিল্পনগরীতে জমির দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন থেকে সাড়ে তিন লাখের মধ্যে প্রতি শতক জমি পাবেন শিল্পোদ্যোক্তারা। প্রকল্প চূড়ান্ত হলে দাম সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে।
সানবিডি/ এন/আই