খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে তার ভাইয়ের করা আবেদনের মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
আনিসুল হক বলেন, ‘আগের আবেদনের ধারাবাহিকতায় তার ভাই আবারও যে আবেদন করেছেন, সেই আবেদনের ব্যাপারে আমাদের আইনি মতামত দিয়ে আমরা এটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আপনারা জানেন যে, এর আগেও যতবারই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা গেছে। যেহেতু এটা প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত ফাইলটা যাবে আমার যে মতামত সেটা কিন্তু এখন আপনাদের বলতে পারব না, এটার গোপনীয়তা রাখতে আমি বাধ্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মতামত দিয়েছি, এখন এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছি ফাইলটি ওনার কাছে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল যাওয়ার পর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।’
‘আমি কিন্তু বারবারই একটি কথা বলেছি, ৪০১ ধারায় যে ছয়টি উপধারা আছে, সেখানে পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ ট্রানজেকশনে (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় যে দরখাস্ত একবার নিষ্পত্তি হয়, সেই দরখাস্তকে আবার পুনরুজ্জীবিত করার সুযোগ না থাকা) আবার বিবেচনা করার কিন্তু কোনো সুযোগ নেই।’
৪০১ ধারা নিয়ে আপনার আগের মতামতের ওপর স্থির (স্ট্যান্ড) আছেন কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘স্ট্যান্ড আর সিটিংয়ের কোনো ব্যাপার না এটা, আইনের যে ব্যাখ্যা, আমি আইনের যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, সে ব্যাখ্যার সাথে কোনোখানেই আমি দেখিনি তার জাজমেন্টে দ্বিমত আছে। আমার ব্যাখ্যাটাই আমি সঠিক বলে মনে করি।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা হলে সেখানেও তার রিপোর্ট পজিটিভ দেখায়। পরে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ১৯ জুন তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর ১২ অক্টোবর আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতলে আসেন খালেদা জিয়া। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ২৬ দিন পর ৭ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গুলাশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
এরপর গত ১৩ নভেম্বর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তখন থেকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তা নাকচ করে দেয়। তাকে দেশে থেকেই চিকিৎসা নিতে হবে বলে শর্তও দেওয়া হয়েছে।
এএ