জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘দেশের ক্রান্তিকালে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে জাপার। বিষয়টি দেশের ইতিহাসে প্রথম হওয়ায় জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। তাই খুব শিগগরিই সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করছে জাতীয় পার্টি।’
জাতীয় পার্টিতে কোনো ভাঙন নেই। দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাতিসংঘের ‘আইপিইউ’ সেমিনারে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে অংশ নিতে এসে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্শীদের প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন কাজী ফিরোজ রশীদ।
জাতিসংঘে সোমবার অনুষ্ঠিত দুদিন ব্যাপী ‘ইন্টার পার্ল্টামেন্টারি ইউনিয়ন-আইপিইউ’র মাদক বিষয়ক শুনানিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের হয়ে অংশ নেন তিনি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘আমাদের দল সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সিদ্ধান্তকেই আমরা মেনে নিতে বাধ্য।’
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি ও দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কেন? গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন ইস্যুতে বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিসভায় জাপার অংশগ্রহণ দেশের সাধারণ জনগণ হয়তো ভালো চোখে দেখেনি। কারণ তারা এ বিষয়টি আগে কখনও দেখেনি। তাই, খুব শিগগিরই সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে জাপার বেরিয়ে আসার যে সিদ্ধান্ত প্রেসিডিয়াম বৈঠকে হয়েছে তা আমরা মেনে নিয়েছি।’
এ সময় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতা বর্তমানে আর নেই বলেও দাবি করেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের মধ্যে পাটির স্বার্থে কোনো মতবিরোধ নেই। আমরা আশা করছি দলের আগামী কাউন্সিলে নেতাকর্মীরাদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। কো-চেয়ারম্যান ও মহাসিচব সে বিষয়টির ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
সানবিডি/ঢাকা/এসএস