ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, বিদেশিদের পুরো আয় নিজ দেশে পাঠানোর সুযোগ প্রদানের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক, তবে বিদেশি কর্মী নিয়োগে নৈরাজ্য দূর করতে সমন্বিত কৌশলগত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
টিআইবি বলছে, সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং অর্থপাচার ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত কৌশলগত নীতিমালা প্রণয়ন ও যথাযথ বাস্তবায়ন এর পূর্বশর্ত। এর ফলে অবৈধ পন্থায় রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধের পাশাপাশি সরকারের বিপুল রাজস্ব ক্ষতি এড়ানো সম্ভব।
বিবৃতিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, দেশে বিভিন্ন খাতে কাজ করা বিদেশি কর্মীদের বড় অংশই দেশে অবৈধভাবে কাজ করেন এবং অর্জিত আয় হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশে প্রেরণ করে থাকেন। যার ন্যূনতম বার্ষিক পরিমাণ ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে কর ফাঁকির কারণে বার্ষিক রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ গ্রহণ করে বিদেশি কর্মীরা যদি তাদের অর্জিত আয় বৈধ পথে নিজ দেশে পাঠায়, তাহলেই কেবলমাত্র এই সিদ্ধান্তের ইতিবাচক ফলাফল আশা করা যেতে পারে।”
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অধিকাংশ বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে আগমন, অবস্থান ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেন না। বাংলাদেশে আগমনের মূল উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান হলেও, এ ক্ষেত্রে তারা সাধারণত ট্যুরিস্ট ভিসা বা ভিসা অন অ্যারাইভাল অথবা বিজনেস ভিসায় এসে থাকেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় নিয়োগদাতাদের যোগসাজশে কর্মানুমতি ছাড়াই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগ দেন, যাদের কোনো হদিস সরকারিভাবে রাখা হয় না। আবার সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম মাসিক বেতন সীমা হালনাগাদ না করায়, কর ফাঁকি দিতে বিদেশিদের সঠিক বেতনও ঘোষণা করে না নিয়োগদাতারা। এর ফলে একদিকে সরকার যেমন বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে এক শ্রেণির অসাধু চক্র বিদেশে অর্থ পাচার করার সুর্বণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করছে।
এএ