২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে হিমায়িত খাদ্য ও মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে এই খাতের রপ্তানি আয়।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে হিমায়িত খাদ্য এবং মৎস্য জাতীয় পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৫৬ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৩২ কোটি ৫৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের হিমায়িত খাদ্য এবং মৎস্য জাতীয় পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরের মধ্যে হিমায়িত খাদ্য এবং মৎস্য জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এই খাতে পণ্য রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ২৯ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের চিংড়ি রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এই খাতে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ১১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলেও গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ কম আয় হয়েছে চিংড়ি রপ্তানিতে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে এই খাতে আয় হয়েছিল ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি। সেইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে এই খাতে। ২০১৪-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে অন্যান্য হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ দশমিক ২২ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে অন্যান্য হিমায়িত খাদ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯০ লাখ ২০ মার্কিন ডলার।
সানবিডি/ঢাকা/আহো