গাঁটে ব্যথায় যে খাবারগুলো খাবেন না

প্রকাশ: ২০১৬-০২-০৯ ১৪:০০:১০


resize3893অস্বস্তি বা প্রদাহ থেকে শরীরের যেকোনো গাঁট বা জয়েন্টেই ব্যথা হতে পারে। এটি যেকোনো বয়সে যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। এই ব্যথা সাময়িক বা দীর্ঘস্থায়ী হয়।

আর্থ্রাইটিস এবং গাউট গাঁটে ব্যথার দুই বড় কারণ। এ ছাড়া পেশিতে টান লাগা, হাড় ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও গাঁটে ব্যথা হতে পারে। প্রদাহরোধী খাবার রসুন, আদা, হলুদ ইত্যাদি ব্যথা কমাতে কিছুটা কাজ করে। তবে গাঁটের ব্যথায় ভুগলে কিছু খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডিজ জানিয়েছে এসব খাবারের নাম। আসুন জেনে নেয়া যাক সেসব খাবারের নাম।

১. প্রক্রিয়াজাত মাংস: প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ। ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সের ২০১৪ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, লাল মাংসের মধ্যে রয়েছে গ্লাইকেন। এটি পদ্ধতিগত প্রদাহ তৈরি করে এবং ক্যানসার তৈরি করতে পারে। এটি খেলে গাঁটে ব্যথা বেড়ে যায়। তাই প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে তাজা ফল ও শাকসবজি খান।

২. পরিশোধিত চিনি: উচ্চ পরিমাণ চিনি গ্রহণ শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। এটি প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান কিটোকিনস উৎপন্ন করে। এ ছাড়া চিনিতে রয়েছে ক্যালরি। এটি ওজন বাড়িয়ে দেয়। এতেও গাঁটে ব্যথা হয়।

৩. দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুগ্ধজাতীয় খাবারও গাঁটে ব্যথা তৈরি করে। দুগ্ধজাতীয় খাবারে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন প্রদাহ ও ব্যথা তৈরি করে। ননিযুক্ত দুগ্ধজাতীয় খাবার, যেমন—দুধ, মাখন, পনির ইত্যাদি চর্বিযুক্ত টিস্যুর প্রদাহ বাড়ায়। এটি ব্যথায় রূপ নেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, গাঁটে ব্যথা হলে বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো ব্যথা থাকলে পাস্তুরিত দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
তবে এসব খাবার গ্রহণ করা আপনার জন্য জরুরি কি না, সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিন।

৩. ভুট্টার তেল: ভুট্টার তেলে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড। এটি প্রদাহ সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থ তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া সূর্যমুখীর তেল, সয়াবিন, বাদামের তেলেও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এসব খাবারে গাঁটে ব্যথা বাড়তে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

৪. ডিম: প্রতিদিন ডিম খাওয়া গাঁটের ফোলা ভাব ও ব্যথা তৈরি করতে পারে। বিশেষত, গাঁটে ব্যথা হলে ডিমের হলুদ অংশ এড়িয়ে যেতেই বলা হয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে স্যাচুরেটেড চর্বি। এটিও প্রদাহ এবং ব্যথা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আপনার যদি গাঁটে ব্যথা থাকে এবং সকালের নাশতায় যদি ডিম খেতে বেশ পছন্দ করেন, তাহলে কুসুম এড়িয়ে খান।

সানবিডি/ঢাকা/আহো