বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিসিআই) এর ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিসিআই বোর্ডরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিআই এর সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)। সভাপতি বিসিআই এর ২০২০-২০২১ সালের কর্মকান্ডের সার সংক্ষেপ সভায় উপস্থাপন করেন। বিসিআই এর বিগত কর্মকান্ডে মূল্যবান সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য তিনি বিসিআই এর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ পরিচালক ও সদস্যবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ জানান। তিনি অনুরূপ সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় বিসিআই এর সাবেক সভাপতি, এ. কে আজাদ ও জনাব এ. এম. সুবিদ আলি, উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি মিসেস প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি জনাব শহীদুল ইসলাম নিরু সহ বিসিআই এর অন্যান্য পরিচালক ও অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ শিল্প ক্ষেত্রে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস এবং আমদানি-রপ্তানি সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং বিসিআই সভাপতি তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বাতœক সহযোগিতার আশ্বস প্রদান করেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন যে, যেহেতু বিসিআই সমগ্র বাংলাদেশ ভিত্তিক একক এবং একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার সেহেতু স্থানীয় সকল শিল্পের পথে সর্বপ্রকার প্রতিবন্ধকতা নিরসনে আমাদের সবাইকে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করতে হবে। বিসিআই নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। বিসিআই সভাপতি বলেন দেশে একদিকে যেমন বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি আবার শিল্পে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে। আর এই কারনে বিসিআই দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে এস.এম.ই ফাউন্ডেশন ও কারিগরি শিক্ষ অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝতা স্মারক স্বাক্ষক করার চেষ্টা করছে। তরুণ উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র, কুটির এবং যুব উদ্যোক্তা তৈরি এবং বিকাশের জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করবে বিসিআই। বিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা আশা করছি দেশে ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্রের হার শুণ্য শতাংশে নেমে আসবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিসিআই এর সকল সদস্য ও পরিচালকদের একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
বিসিআই ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি জনাব এ. কে আজাদ বলেন, দেশে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সব সুবিধাসহ ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করছে সরকার। অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলিতে পরিকল্পিত শিল্পায়নে বিসিআইকে সহযোগী ভূমিকা নিতে হবে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে জোরদার ভূমিকা রাখতে হবে। মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়ন এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি ভিত্তিক শিল্প খাতের উন্নয়নে বিসিআইকে জোরদার ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
সভায় নির্ধারিত সকল আলোচ্যসূচী আলোচনা করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।
সভায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পরিচালক এবং সদস্যবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
এএ