নতুন ২০২২ বছরে পাম অয়েলের দাম বেশ শক্তিশালী থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রমিক সংকট ও সারের দামে ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির ফলে ভোজ্যতেল উৎপাদনে ব্যবহূত কৃষিপণ্যটির দামে প্রভাব রাখবে। সম্প্রতি কাউন্সিল অব পাম অয়েল প্রডিউসিং কান্ট্রিজের (সিপিওপিসি) প্রকাশিত এক তথ্যে এমনটা জানানো হয়। খবর রয়টার্স।
২০১৮ ও ২০১৯ সালে কৃষকরা সারের ব্যবহার কমিয়ে আনায় এরই মধ্যে ফলন হ্রাসের মতো পরিস্থিতি অবলোকন করেছে পাম অয়েল খাত। এরপর চলতি বছরে কম উৎপাদনের ফলে খাতটিতে সংকট আরো বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে সিপিওপিসি জানায়, সদ্যসমাপ্ত বছরের মাঝামাঝি নাইট্রোজেন ও ফসফেটের দাম ৫০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। সারের এমন দাম বাড়ার ফলে ক্ষুদ্র কৃষকরা পাম অয়েলের উৎপাদন কমিয়ে আনছেন। অন্যদিকে প্লানটেশন খামারগুলো সরবরাহ সীমাবদ্ধতার ফলে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। সংস্থাটি জানায়, এ পরিস্থিতিতে চলতি বছর পাম অয়েল উৎপাদনকারী শীর্ষ দুই দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কৃষিপণ্যটির উৎপাদনে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। বিশ্ববাজারে সরবরাহকৃত পাম অয়েলের ৮৫ শতাংশের জোগান দেয় দেশ দুটি।
সরবরাহ সীমাবদ্ধতার কারণে সদ্যসমাপ্ত বছরে পাম অয়েলের আন্তর্জাতিক বাজারআদর্শ অনুসারে পণ্যটির ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য বেড়েছে। ২০২১ সালে কৃষিপণ্যটির বাজার আদর্শ প্রায় ৩১ শতাংশ বাড়ে। এ সময়ে প্রতি টন পাম অয়েলের দাম স্পর্শ করে ৫ হাজার ২২০ রিঙ্গিত (১ হাজার ২৫২ ডলার ২৫ সেন্ট), যা যেকোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ।
পাম অয়েল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সংগঠন জানায়, কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী সম্ভাবনা সত্ত্বেও চলতি বছর পাম অয়েলের উৎপাদন সীমাবদ্ধ থাকবে। এ সময়ে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তির জন্য প্রতি টন পাম অয়েলের দাম ১ হাজার ডলারের আশপাশে অবস্থান করতে পারে। পাশাপাশি চলতি বছর সয়াবিনের উচ্চফলনের দরুন পাম অয়েলের চাহিদা কিছুটা মন্থর হতে পারে বলেও জানায় সিপিওপিসি।
সানবিডি/এনজে