বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও রয়েছে দেশি-বিদেশি হাজার হাজার এনজিও। তবে দেশটির নিয়মানুযায়ী এসব এনজিওকে বিদেশি অর্থসহায়তা অর্থাৎ ফান্ড পেতে হলে লাইসেন্স নিতে হয়। সম্প্রতি ছয় হাজারের বেশি এনিজিওসহ অন্যান্য কিছু সংস্থার এ লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এনিয়ে গত কয়েক মাসে মোট ১২ হাজারের বেশি এনজিওর লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন থেকে তারা বিদেশ থেকে কোনো সহায়তা নিতে পারবে না। শনিবার (১ জানুয়ারি) সকালে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা মিশনারিজ অব চ্যারিটির লাইসেন্স নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানানোর কয়েকদিন পরই এমন বড় ধরনের খবর এলো দেশটির পক্ষ থেকে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সম্প্রতি ছয় হাজারের অধিক এনজিও তাদের লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করেনি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে আবেদন করার কথা ছিল। কিন্তু অনেকেই তা করেনি। তাই এখন কীভাবে তাদের বিদেশ থেকে অর্থ পাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হবে।
অক্সফাম ইন্ডিয়া ট্রাস্ট, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও লেপ্রসি মিশনসহ মোট ১২ হাজারেরও বেশি এনজিওর লাইসেন্সের মেয়াদ গত কয়েক মাসে শেষ হয়েছে।
ভারতে এখন মাত্র ১৬ হাজার ৮২৯টি এনজিও রয়েছে যাদের এখনো লাইন্সের মেয়াদ রয়েছে। গতকাল এ এনজিওগুলো ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন করেছে।
এর আগে মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থায় বিদেশি অনুদান পাওয়ার লাইসেন্স স্থগিত করে ভারত সরকার। মিশনারিজ অব চ্যারিটি নামের ওই সংস্থাটি পরিত্যক্ত শিশুদের জন্য হোম ছাড়াও অনেক স্কুল ও হাসপাতাল পরিচালনা করছে।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন বা ক্রিসমাস অনুষ্ঠানে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় ওই সংস্থাটির রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
সানবিডি/এনজে