করোনার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক খাত। রপ্তানি বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের তুলনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে।
রোববার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। ইপিবির প্রকাশ করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার ধাক্কা সামলে পোশাক রপ্তানি ঘুরে দাঁড়ানোর ধারা অব্যাহত আছে।
বিজিএমইএর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বরের রপ্তানির তুলনায় ২০২১ সালের ডিসেম্বরে পোশাক রপ্তানি ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি ৩৮ শতাংশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ৪ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৯.৯০ বিলিয়ন ডলারের, যা তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ বেশি।
পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাসে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে ৫৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ওভেন পোশাকের রপ্তানি ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পোশাক রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা লক্ষ করা গেলেও সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। বিভিন্ন কাঁচামালের দাম, পণ্য জাহাজীকরণ খরচ, রং ও রাসায়নিক দ্রব্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু পণ্য উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির অনুপাতে পোশাকের দাম সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাড়ছে না। এছাড়া, পোশাক রপ্তানির প্রধান বাজারগুলোতে কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। কোভিডের সংক্রমণ রোধ ও নিজেদের রক্ষার্থে দেশগুলো বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এর ফলে পোশাকের নতুন ও চলমান রপ্তানি আদেশের ওপর প্রভাব পড়ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নতুন বছর ২০২২ অনিশ্চয়তার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে। গত কয়েক মাসের উপাত্ত পর্যালোচনায় শিল্পের অগ্রযাত্রার সম্ভাবনা প্রতীয়মান। কিন্তু নিকট ভবিষ্যতের বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী অতিমারি থেকে পুনরুদ্ধার এখনও নড়েবড়ে।
এএ