মহামারি করোনার প্রকোপে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ তৈরি করতে অতি প্রয়োজনীয় খাতগুলোতে অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর। শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় অভিবাসী শ্রমিক নেওয়ার এই ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিঙ্গাপুর অতি প্রয়োজনীয় অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে আসবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মেধাবী কর্মীরা যাতে সিঙ্গাপুরে এসে সমাদৃত বোধ করেন, সেটি নিশ্চিত করা হবে।
একই সঙ্গে তারা সিঙ্গাপুরবাসীর পরিপূরক হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিঙ্গাপুর সাধারণত বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও ফিলিপাইন থেকে শ্রমিক, দক্ষ জনশক্তি ও পেশাজীবীদের নিয়ে থাকে। কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যস্ত দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এই চার দেশ থেকে কর্মী নিয়োগের ইঙ্গিত দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি। তবে কোন দেশ থেকে কত সংখ্যক কর্মী নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।
লি সিয়েন বলেছেন, ২০২২ সাল হবে রূপান্তরের সময়। দেশের অর্থনীতি দৃঢ়ভাবে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং এই নগর রাষ্ট্র বাকি বিশ্বের সাথে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করছে।
’বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী দক্ষিণ এশিয়ার নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে কাজের সন্ধানে যান। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বাংলাদেশি কর্মীদের সিঙ্গাপুরে রফতানি হ্রাস পায়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১০ হাজার ৮৫ জন কর্মী সিঙ্গাপুরে যান।
এরপর গত বছরের মে মাস পর্যন্ত দেশটিতে ১২ হাজার ১৩৯ জন বাংলাদেশি শ্রমিক গেছেন। মহামারির কারণে শ্রমিক নেওয়া বন্ধ থাকায় এর পর থেকে আর কোনো কর্মী সিঙ্গাপুরে পাঠানো যায়নি।
সানবিডি/এনজে