ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের একজন গ্রাহকের ২০২১ সালে যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কেউ ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবে না।
বিশেষ সুবিধা পাওয়া এই ঋণের বিপরীতে পুরো সুদ আয় খাতে নিতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে এ ধরনের ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সাধারণ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে এমন তথ্য জানানো হয়।
গত বছর আগস্টের এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২১ সালে একজন ঋণ গ্রহীতার যে পরিমাণ পরিশোধ করার কথা কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না।
তবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবির মুখে গত ৩০ ডিসেম্বর ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের জন্য ১৫ শতাংশ পরিশোধ করে খেলাপিমুক্ত থাকার বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।
এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদেরও একই রকম সুবিধা দেওয়া হল। যদিও গত ২৮ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, সুবিধা আর বাড়বে না।
করোনার কারণে ২০২০ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকরা এক টাকাও পরিশোধ না করলেও তাকে খেলাপি করতে পারেনি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। চলতি বছর একই রকম সুবিধার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের দাবি শুরুতে নাকোচ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে একবারে ঋণ পরিশোধের চাপ কমাতে গত জানুয়ারির এক নির্দেশনায় ঋণ শোধে বাড়তি সময় দেওয়া হয়। পরে গত ২৭ আগস্ট শুক্রবার এক সার্কুলার জারি করে জানানো হয়, চলতি বছর একজন ঋণ গ্রহীতার যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধ করার কথা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলে আর খেলাপি হবে না।
এএ