প্রযুক্তি পণ্যের বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলেছেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) যুগ্ম সম্পাদক মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন। তিনি বলেন, বর্তমানে ল্যাপটপের সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক। বাজার চাহিদার ৫০ শতাংশে নেমে গিয়েছিলো ল্যাপটপের সরবরাহ। বর্তমানে তা ৬৫ থেকে ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। বাজারে বর্তমানে নেটওয়ার্কিং পণ্য, রাউটার, সিকিউরিটি ক্যামেরা, গ্রাফিকস কার্ড, প্যানেলের সংকট রয়েছে। এসবের সংকট কাটতে দেরি হবে বলে মনে হচ্ছে। আমরাও ঠিক নিশ্চিত নই কবে নাগাদ সংকট দূর হবে। উৎপাদকরাও জানায় না কবে নাগাদ তাদের কাজ স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে। সার্বিকভাবে দেশের প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে বিক্রি প্রায় ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে সুজন জানান, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া, জাহাজ ভাড়া দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে তার প্রভাব পড়েছে পণ্য আমদানিতে। ফলে পণ্যের দাম দাম বেড়ে যে জায়গায় পৌঁছেছে তা সহসাই কমছে না। তিনি মনে করেন, স্কুল কলেজ পুরোপুরি খুলে গেলে, করপোরেট ক্রয় বাড়লে বাজার আগের অবস্থায় ফিরতে পারে।
দেশের প্রযুক্তি বাজারে স্বাভাবিক চিত্র ফিরিয়ে আনতে কম্পিউটার ব্যবসায়ীদের উদ্যোগেরও শেষ নেই। রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান কম্পিউটার সিটি সেন্টারে আয়োজন করা হয় সপ্তাহব্যাপী কম্পিউটার মেলা। মেলায় দর্শক-ক্রেতা উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল বলে জানা গেছে। পণ্যে ছাড় ঘোষণা করে, উপহার দিয়ে দর্শক টানার চেষ্টা ছিল ব্যবসায়ীদের। এই মার্কেটের কয়েকটি ফ্লোরে পুরনো ল্যাপটপের বাজার গড়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আনা পুরনো ল্যাপটপ দেদার বিক্রি হচ্ছে।
মূলত প্রযুক্তিপ্রেমী চাহিদা মিটিয়েছে বাজারটি। যদিও দেশে পুরনো প্রযুক্তি পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। তারপরও এই মার্কেটের উদ্যোক্তারা পরিস্থিতি বিবেচনায় এসব বিক্রির অনুমোদন দিয়েছেন। মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকার জানান, করোনার ফলে সৃষ্ট সংকট কেটে গেলে তিনি মার্কেটে পুরনো কম্পিউটার বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নেবেন। তিনি মনে করেন, পুরনো ল্যাপটপের মার্কেটের কারণে দেশে ল্যাপটপ সংকট সহনীয় ছিল।
সানবিডি/এনজে