বয়স বিবেচনায় না নিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন এমন সবাইকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম। সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘মৃত্যু ঝুঁকিতে আছেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ—এমন ব্যক্তিদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে থাকাদের ক্ষেত্রে বয়স কোনও বাধা হবে না।’
এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে টিকা কার্ড নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যেতে হবে। তাকে বলতে হবে যে, তার শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে। একটা লোকের ক্যানসার আছে, কিন্তু বয়স ৪০। সে বাদ যাবে কেন? আমরা তাকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’
অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘টিকার জন্য নিবন্ধন করার সময় সব তথ্য নেওয়া হয়েছে। এটা দেখেই নিশ্চিত হওয়া যাবে তার কো মরবিডিটি আছে কিনা। আর কেউ যদি নিবন্ধনের সময় তথ্য না দিয়ে থাকে, তাহলে সে দেখাবে যে সে ক্যানসারে আক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ধরনের কো মরবিডিটি আছে। যেমন: ক্যানসারে আক্রান্ত, অ্যান্টিক্যানসার ড্রাগ খেয়েছে, রেডিয়েশন পেয়েছে, কেমোথেরাপি পেয়েছে, ইমিউন দুর্বল—এ ধরনের মানুষের আমরা প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি।’
ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ‘এসএমএস ছাড়াও ষাট বছরের কম বয়সী কো মরবিড রোগীরা আগের কেন্দ্রে টিকা নিতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে তাদের রোগের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ থাকতে হবে।’
দেশে গত ২৮ ডিসেম্বর বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির ব্যক্তিরা বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন। বুস্টার ডোজ পাওয়ার জন্য করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পার হতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে গতকাল রবিবার পর্যন্ত ৭ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ টিকা পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।
গত মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হওয়ার পর এ পর্যন্ত বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০ জন।
এএ