বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিক গেমস বয়কটে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আহ্বান জানিয়েছে বেলজিয়ামের নাগরিকরা। বিষয়টি নিয়ে গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ব্রাসেলস এবং এন্টওয়ার্পে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন দেশটির সুশীল সমাজ গোষ্ঠীগুলো। অলিম্পিকে ইইউকে কূটনৈতিক বয়কটের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
২০২২ সালের এই অলিম্পিক গেমস শুরুর আর মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বাকি। বিতর্কিত এই গেমসে ইইউ কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে কি না সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তা সত্ত্বেও বেলজিয়ামসহ সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রগুলো অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে। এর পক্ষে ইইউ পার্লামেন্টে ভোটের ব্যবস্থা করছে।
চীনের ভয়াবহ মানবাধিকার পরিস্থিতির বিরুদ্ধে তারা এই অবস্থান নিয়েছে। এজন্য ৩ ও ৪ জানুয়ারি বেলজিয়ামের বিভিন্ন সুশীল সমাজ গোষ্ঠী, মানবাধিকার কর্মী এবং তিব্বতি ও উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্যরা ইইউকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাতে রাস্তায় নামবে। তারা বেলজিয়াম অলিম্পিক বয়কটের ঘোষণা দেবে।
ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ডিফেন্স অব মাইনরিটিজ’র প্রেসিডেন্ট মানেল মাসালমি বলেছেন,‘উইঘুরসহ চীনা সংখ্যালঘুদের ওপর জোরপূর্বক শ্রম, যৌন নির্যাতন মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংস্থাগুলো অস্বীকার করতে পারে না। তারা বেইজিং অলিম্পিক বয়কটের মাধ্যমে বার্তা দেবে যে, মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বয়কট চীনের তথাকথিত ‘‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’’ বন্দিদের জাতিগত নির্মূলে সহিংসতার বিরুদ্ধে বার্তা পাঠাবে। একবিংশ শতাব্দীতে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী হওয়া মানবতার জন্য কলঙ্ক।’
মানবাধিকার সংস্থা ‘পোস্ট ভার্সার’ প্রেসিডেন্ট অ্যান্ডি ভার্মাউত বলেছেন, ‘অলিম্পিকে অংশগ্রহণের অর্থ হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কর্তৃত্ববাদী নেতৃত্বের সমর্থন। সমস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত এটি বয়কট করে একটি উদাহরণ স্থাপন করা।’
সানবিডি/ এন/আই